সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
মো. নুরুন্নবী- পাবনা জেলা প্রতিনিধি.
পাবনার আটঘরিয়ায় জালালের ঢাল জামে মসজিদের জালসায় মেয়েদেরকে কটুক্তি করায় বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে এক সংঘর্ষে দুই জন গরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে লক্ষ্মণ কর্মকার(৩৫) নামক এক ব্যক্তিকে মুমুর্ষ অবস্থায় প্রথমে আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তার অবস্থা অবন্নতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয। অপর জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আজ ৪ জানুয়ারি সকাল সাতটার দিকে আটঘরিয়া বাজার ও জালালের ঢালে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো-উত্তরচক জালালের ঢাল গ্রামের মিন্টু কর্মকারের ছেলে লক্ষ্মণ কর্মকার, একই এলাকার মুকুল খার ছেলে আকুব্বার খা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্গরতিবছরের ন্যায় গত ৩ জানুয়ারি উপজেলার জালালের ঢাল জামে মসজিদের বাৎসরিক জালসা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সন্ধ্যা আটটার দিকে জালসায় আসা কয়েক জন মেয়েকে দেখে যুবদল নেতা ইমরাম, শান্ত গং কটুক্তি করে।
বিষয়টি জালসা কমিটির লোকজন জানতে পারলে তাদেরকে বাঁধা নিষেধ করে। এসময় লক্ষ্মণ নামক এই ছেলেটি উপস্থিত ছিল। পরে তারা উল্টো জালসা কমিটির লোকজনকে মারপিট ও তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরের দিন ৪ জানুয়ারি শনিবার সকাল সাতটার দিকে লক্ষ্মণ কর্মকার আটঘরিয়া বাজারের তার দোকান খুলতে যায়।
এসময় বিএনপি’র নেতা অলি, ইমরান, শান্ত সহ ১০-১৫ জনের জিআই পাইপ, চাপাতি, টাঙ্গীসহ দেশি অস্ত্র সশস্ত্র সজ্জিত হয়ে লক্ষ্মণকে কুপিয়ে বেধরক মারপিট করে দুই পাঁ ভেঙে দেয়।
পরে লক্ষ্মণের আত্নচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে দ্রুত তাকে আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা অবন্নতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
আটঘরিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আকুব্বর খা সহ কয়েকজন দ্রুত আহত লক্ষ্মণকে এ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিতে গেলে তাৎক্ষণিক অলি, ইকরাম, শান্ত সহ ১০-১৫ জন অতর্কিত হামলা চালিয়ে আকুব্বর খাকে ব্যাপক মারপিট করে ফোলা জখম করে পালিয়ে যায়।
৫নং পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আকুব্বর জানান, আওয়ামী লীগের সময় অলি গং ব্যাপক চাঁদাবাজি, মাস্তানি ছিনতাই রাহাজানি করেছে। আর এখন বিএনপির ছত্রছায়ায় নেতাকর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব করছে। তবে আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই নেতাকর্মীদের কাছে।
৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল হান্নান জানান, অলি বিএনপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে যে অপকর্ম গুলো করছে। এটা ঠিক না। লক্ষ্মণ ও আকুবাবরকে যে ভাবে মারাধর করা হয়েছে এটা জঘন্যতম কাজ। দলের জন্য এটা লজ্জা জনক ব্যাপার। আমি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হয়ে উপজেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের কাছে সুবিচার হওয়া দরকার বলে মনে করছেন এই নেতা।